Posts

খাঁচার মধ্যে ভয়ে কাঁটা, বলির পাঁঠা

Image
এবং তারপর, 27/12/2021 :  বলির পাঁঠা, অদ্ভুত শব্দ যুগল ! অর্থাৎ বলি দিতে হলে একটাই পশুর নাম উচ্চারণ করা হয়। আর সে হল পাঁঠা বা ছাগল। তা সে বলি দিতেই হোক, চামড়া ছাড়িয়ে মাংসের দোকানে হেঁট মুণ্ড উর্দ্ধ পদে ঝুলিয়ে রাখাই হোক অথবা সুন্দরবনের গ্রামে বাঘ ধরতে ফাঁদ পাতার জন্যেই হোক। বলির উৎসর্গ হতে হবে পাঁঠা বা ছাগলকেই।  কুলতলি বা ঝড়খালি গ্রামগুলো একেবারেই সুন্দরবন্ লাগোয়া। এই গ্রামগুলোতে প্রায়ই বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। নদী সাঁতরে সুন্দরবনের অরণ্য থেকে বাঘ ঢুকে পড়ে বন লাগোয়া গ্রামগুলোতে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে, খুব স্বাভাবিক সেটা। মুহুর্তে খবর চলে যায় পুলিশ এবং বন দপ্তরে।  বাঘ আগমনের খবর পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। শুরু হয়ে যায় বাঘ খোঁজার প্রাথমিক কাজ কর্ম। এবার কিভাবে যেন খবর পৌঁছে যায় সংবাদ মাধ্যমে। সংবাদ পত্রে বা টেলিভিশনে বাঘের পায়ের ছাপ দেখেই সরকার বাহাদুরের কপালে চিন্তার ছাপ পড়তে শুরু করে। ওপর মহল থেকে চাপ আসতে থাকে যাতে দ্রুত বাঘ ধরা হয়। যেন একজন মানুষের (ভোটারের) গায়েও আঁচড়টুকুও না লাগে। ওপর মহলের চাপ এসে পড়ে ঘটনাস্থলে কর্মরত ব

বছরে ৫ বা তার বেশি ঘূর্ণিঝড় দেশে বিপর্যয় ডেকে আনছে

Image
  লেখক : অরিন্দম নন্দী  (সাংবাদিক) এবং তারপর, ২৮/০৫/২০২১ :  ভারতবর্ষে ক্রমশই বেড়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। তা সে বঙ্গোপসাগরেই  হোক অথবা আরব সাগরে। প্রতিবছর একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতবাসীকে। আর এই ঘূর্ণিঝড়গুলির কারন হিসেবে দেশের জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দেখছেন ভূবিজ্ঞানীরা। ভারতে জলবায়ু এখন বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক সময় অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে না দেশের সব জায়গায়, এর ফলে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যাও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের বদভ্যাস, নিয়ন্ত্রণহীন জীবন ও জীবিকাকেও দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি অজ্ঞতা এবং শিক্ষার অভাবের কারণেও বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসছে মানুষের জীবনে। ভারতবর্ষের মত দেশেও উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কিনা গোটা বিশ্বের সামনেও বিরাট মাপের বিপদকে এগিয়ে আনছে।  সমস্যাটা হল, ভারতে এই বিষয়গুলি নিয়ে সেভাবে প্রচার করা হয় না।  দেশে উষ্ণতা বাড়ছে, অথচ সেই উষ্ণতা থেকে রেহাই পেতে প্রত্যেকে ঘরে এয়ার কন্ডিশন লাগিয়ে যাচ্ছেন সামর্থ্য অনুযায়ী। বাতানুকূল মেশিনগুলি থেকে সমষ্টিগত উষ্ণ বায়ু বাতাসকে আরও উষ্ণ করে

ভোটের আগেবি যুযুধান দুই পক্ষের ইস্তাহার যুদ্ধ

Image
লেখক : অরিন্দম নন্দী     এবং তারপর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ২২/০৩/২০২১ : এবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা    নির্বাচনকে ঘিরে টান টান উত্তেজনার সাক্ষী থাকতে চলেছেন বঙ্গবাসী। দুই পক্ষের লড়াই এবার জমে উঠেছে। একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং আর একদিকে ভারতীয় জনতা পার্টী। তৃণমূল রাজ্যে তাদের শাসন ব্যবস্থা নিজেদের হাতের মুঠোয় ধরে রাখতে সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, উল্টোদিকে বাংলায় নিজেদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইয়ে কে জিতবে, বাংলায় পরিবর্তন হবে নাকি প্রত্যাবর্তন হবে সেটা দেখতে হলে ২রা মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। ওই তারিখেই নির্বাচনের গণনা হবে এবং রাজ্যের জোড়া ফুল এবং পদ্মফুল শিবিরের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।আর মাত্র ৪১ দিনের অপেক্ষা। ভোটের আগেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে অবশ্য আরও একটা যুদ্ধ দেখা গেল। সেটা হল ইস্তেহারের যুদ্ধ। দুই রাজনৈতিক দলই নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করে দিয়েছে। কিন্তু একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল দুই রাজনৈতিক দলই  এবার তাদের ইস্তেহারে যে বিষয়গুলির ওপর বেশি গুরুত্ত্ব দিয়েছে, সেগুলি হল মহিলা

নতুন আমেরিকাও কি ভারতের বন্ধু হয়ে উঠবে ?

Image
জো বাইডেন  কেমন হতে পারে  নতুন  মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো   বাইডেনের সাথে ভারতের  সম্পর্ক ? ভারত কি কোন  সমস্যায় পড়তে পারে ?  আলোচনা করলেন  সাংবাদিক অরিন্দম নন্দী । এবং তারপর, ০৯/১১/২০২০ : নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রীতিমত ধরাশায়ী করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুরসী দখল করে নিলেন সেই দেশেরই ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিগত দিনগুলিতে আমরা ক্রমাগত দেখে এসেছি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সখ্যতার ফুটেজ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনে   প্রশ্ন জাগতে শুরু করে দিয়েছে, আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপতি কি ট্রাম্পের মত হবেন ?   তিনি কি আমাদের শত্রুদেশগুলিকেই সমর্থন করবেন ? বাইডেন নতুন রাস্ট্রপতি হয়ে   আসায় ভারতের কি কোনো সমস্যা  হতে পারে ?   আসুন সবার আগে আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপতি সম্ভন্ধে একটু ভাল করে জেনে নেওয়া   যাক, একটু পরিচয় করে নেওয়া যাক। জো বাইডেন, পুরো নাম জোসেফ রবিনেট   বাইডেন। একটি ক্যাথলিক পরিবারে বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর   পেনসিলভিনিয়ার স্ক্র্যান্টনে। বাবার নামও ছিল জোসেফ বাইডেন, তাই পরিবারের বড়     ছেলেকে 'জুনিয়ার বাইডেন' বলে ডাকা হত। 

লক ডাউনের পর এবার কি ? জানতে চাইছে গোটা দেশ

Image
"এবং তারপর",  অরিন্দম নন্দী , ২৮/০৫/২০২০ :    গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা তার বিষাক্ত ফনা তুলে  রেখেছে। দুনিয়ার তাবড় দেশগুলো, যারা এতদিন নিজেদের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা উন্নত দেশ বলে গলা চড়াত, যারা  অহংকারে আর ধরিত্রী স্পর্শ করতে চাইত না, বক্র হাসি ঠোঁটের ধারে খেলিয়ে যারা এতদিন দুনিয়াকে শাসন করবে বলে স্বপ্ন দেখছিল, আজ তারাই  এই ভাইরাসের সামনে নতজানু হয়ে প্রাণ আর মান  বাঁচাতে ব্যস্ত  উঠেছে। বাঘা বাঘা মিসাইল, উন্নত প্রযুক্তির উপগ্রহ কিংবা পারমানবিক অস্ত্র কিছুই আর কাজে আসছে না ধুলোর থেকেও মিহি এক অচেনা শত্রুর সামনে।  গোটা দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন ভীষণভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে এমন এক শত্রুর সামনে, যাকে  সেভাবে চোখেই  দেখা যায় না অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া, আর  ঠিক এখানেই ভূপতিত মানব অহংকার। প্রকৃতির সামনে অসহায় উন্নত মানব সমাজ। পরাজিত বন্দী সৈনিকের মত দেখতে লাগে। যদি এমন প্রশ্ন ওঠে, করোনা মহামারীর জন্যে মানব সমাজের সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি কোন জায়গায় হয়েছে ? তার উত্তর হবে অর্থনীতি। করোনা মহামারী দুনিয়ার প্রত্যেক দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছে, আর এটা ধ্রুব সত্য কথা।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের অবস্থান এতো খারাপ কেন ? (পর্ব - ১)

Image
এবং তারপর (বাংলা), ০৬/০৫/২০২০ :  প্যারিস ভিত্তিক অসরকারী সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’ (আরএসএফ), বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাংবাদিকদের স্বাধীনতার মূল্যায়ন করে তার সর্বশেষ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক প্রকাশ করেছে। এই সূচকে বিশ্বের বৃহত্তম, সবথেকে প্রাণবন্ত এবং মুক্ত গণতন্ত্রের দেশ, যেখানে বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা বিরাজমান౼সেই ভারতের স্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪২। গত বছরের থেকে যা ২ ধাপ নীচে।      আরএসএফ-এর মূল্যায়ন অনুযায়ী সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের অবস্থান এতো খারাপ কেন ? এখানেই আরএসএফ –এর গণতন্ত্রের সম্পর্কে ধারণা এবং যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে।  আরএসএফ –এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সাংবাদিকরা যে স্বাধীনতা উপভোগ করেন, সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে, একদল বিশেষজ্ঞের তৈরি করা বিস্তারিত প্রশ্নাবলী থেকে। সংশ্লিষ্ট সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হেনস্থা এবং নিপীড়নের বিষয়ে সংগৃহীত বিপুল তথ্যের মূল্যায়ন করা হয়েছে। যে ৮৭টি প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, বহুত্ববাদ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংবাদ

মৃত্যুর পরেও তানসেনের দেহে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন কে ?

Image
এবং তারপর, ২০/০১/২০২০ -  " মৃত্যুর পরেও তানসেনের দেহে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন কে ?" পিঠালা সো মজলিশ গয়ি, তানসেন সো রাগ হাসিবো, রামিবো, বলিবো - গয়ো বীরবরা সাথ।'  সাল ১৫৮৬। এপ্রিল ২৩। প্রয়াত হলেন মিঁয়া তানসেন। শেষ হল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাসের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। তাঁর প্রয়ানের তিথি নিয়ে আজও সঠিক হদিশ পাওয়া যায়না। যেমন জানা যায়না তার সঠিক জন্মতিথিও। এমনকি, তানসেন কি ভাবে প্রয়াত হলেন সে নিয়েও রয়েছে বহু মতভেদ।  কেউ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গাইতে গাইতে গলায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ক্ষত বিষিয়ে গিয়েই...অনেকে বলেন, রাগ বাচস্পতি গাইতে গিয়ে শ্বাস আটকে মারা যান তিনি...আবার অনেকের মতে, তার মৃত্যুর কারণ স্বয়ং বাদশা আকবর। শেষোক্ত কারণটিই বহুল চর্চিত।   রাগ দীপক শোনার জন্য ছেলেমানুষী বায়না ধরে ছিলেন বাদশা। বড় ভয়ানক সে রাগ। সে রাগের সঠিক প্রয়োগে শুধু প্রদীপের জ্বলে ওঠা নয়, খোদ গায়কেরও অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পুরোমাত্রায়। তাই প্রথমে অরাজি হলেও, পরে নিজের অন্নদাতা জালালুদ্দিনের আবদার রাখতে গিয়ে দীপক রাগের প্রভাবে অগ্নিদগ্ধ হন তানসেন। মেয়ে সরস্বতী (মতান