হনুমানজী কি আজ বেঁচে আছেন ?

আধ্যাত্মিক

এবং তারপর, ২৮/১২/২০১৯ :  শ্রীরামভক্ত হনুমানের পুজো করেন হিন্দুমাত্রেই। আমাদের দেশে  রামায়ন পড়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই, হনূমান বা বজরংবলীর চরিত্রটি তাই সকলেরই জানা। শ্ৰীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি।  হনূমান ছিলেন পবনদেবের সন্তান, মাতার নাম অঞ্জনী।আবার কেশরী নন্দনও বলা হয় তাঁকে। শ্ৰীরামচন্দ্রের দেহ রক্ষার পর অর্থাৎ শ্ৰীরামচন্দ্র যখন ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে বৈকুন্ঠে ফিরে গেলেন, তারপর কি হল হনুমানের ? বলা হয়, তিনি অমর , অর্থাৎ যাঁর মৃত্যু নেই; তিনি চিরঞ্জীবী।তাঁর মৃত্যু নেই; তিনি আজও  বেঁচে আছেন, এই পৃথিবীতেই তিনি বাস করেন এবং ভক্তদের তিনি দেখাও দেন। আমাদের আজকের আলোচনা শুধুমাত্র এই অংশটি নিয়েই। তিনি কি সত্যিই আজ বেঁচে আছেন ? এবং তিনি ভক্তদের দেখা দেন ?  

এই প্রশ্নগুলির উত্তর অনেকে অনেকরকম ভাবে দেন, বিশ্বাসীরা বলেন হ্যাঁ আজও তিনি বেঁচে আছেন, অবিশ্বাসীরা বলেন, সেটা অসম্ভব। আমি এই লেখার মধ্যে কোনো বিতর্কে যেতে চাই না, শুধু  বিশ্বাসীরা ঠিক কেন বলেন যে  তিনি বেঁচে আছেন এই পৃথিবীতে, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে যাব। তবে অবিশ্বাসীদের বক্তব্যগুলিও তুলে ধরব।
রামায়ন থেকে আমরা জানতে পারি হনুমানের কথা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বলশালী এবং বুদ্ধিমান, তাঁর জ্ঞান ছিল অসীম। তিনি ছিলেন রামভক্ত। সীতাদেবীকে উদ্ধার করে আনতে শ্রীরামচন্দ্রকে তিনি প্রভূত সহযোগিতা করেছিলেন। আজকের দিনেও হনূমান চরিত্রটিকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছেন বিশ্বজুড়ে। প্রথম কথা, তিনি বানর অর্থাৎ বাঁদর প্রজাতির ছিলেন না, বানর কথাটির মানে হল যে নর বনে বাস করে। শ্ৰীরামচন্দ্রের বানর সেনাও তাহলে বাঁদর  নয়, দক্ষিণ ভারতে বসবাসকারি বনবাসী নর বা মানুষই  ছিল

হরিয়ানার নারনাউলে বিশালাকার হনুমান মন্দির 

জানা যাচ্ছে, আমাদের দেশের দক্ষিন অংশে এক ধরনের আদিবাসী মানুষ বাস করত, যারা শারীরিক গঠনে ছিল অত্যন্ত বলশালী, তারা বেশ বুদ্ধিমান ছিল; তাদের বাস ছিল দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার গভীর অরণ্যে। শ্রীলংকা জয় করতে গিয়ে  শ্ৰীরাম এই আদিবাসী উপজাতিকেই সেনা হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। এদের মুখের গড়নের  সঙ্গে বাঁদর বা হনুমানের মুখের মিল ছিল, তবে লেজ ছিল না। এই উপজাতি এখন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়েছে। মায়া সভ্যতাতেও এই জাতীয় মানুষের কথা জানা যায়, মায়া সভ্যতায় দেবদেবীদের মধ্যে এমন একজন দেবতা আছেন, যাঁর আকৃতি একেবারেই হনুমানজির মতন; তাঁর হাতেও গদা রয়েছে, মায়া  সভ্যতায় এঁকে দেবজ্ঞানে পুজো করা হত, চিনদেশেও হনুমানের মতন মানুষের কথা জানতে পারা  যায়। আমেরিকাতেও  এই রকম কিছু অতিমানবের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। 
গন্ধমাদন পাহাড়ে হনুমান মন্দির 

এবার ফিরে যাওয়া যাক সরযূ  নদীর ধারে যেখানে শ্রী রামচন্দ্র শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করছিলেন, সেখানে উপস্থিত রয়েছেন অযোধ্যাবাসী, অযোধ্যা রাজ্ পরিবারের মানুষজন, ভ্রাতা লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘন, সুগ্রীব, অঙ্গদ, বজরংবলী ছাড়াও অনেকে। শ্রী রামচন্দ্রের শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের সাথে সাথে সেখানে অবতীর্ণ হলেন স্বয়ং শ্রী বিষ্ণু, এবং শ্রী রামের দেহ থেকেই বিষ্ণুর সব অবতার জাতককেই প্রত্যক্ষ করলেন উপস্থিত সবাই। বিষ্ণু ঘোষণা করলেন শ্রী রাম তাঁরই এক অবতার রুপী  জাতকের নাম; এবং তাঁর থেকে অভিন্ন এখানে দেহরক্ষার পর শ্রীরাম অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণু বৈকুন্ঠে যাত্রা করবেন। তখন সুগ্রীব কাতর আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি শ্রী রামকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না, তাই তাঁকেও যেন বৈকুন্ঠে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়, সুগ্রীবের সাথে সাথে অন্যান্যরাও একই আবেদন পেশ করলেন প্রভুর কাছে। তখন বিষ্ণু বললেন, ঠিক আছে, তাঁর সাথে যাঁরা বৈকুন্ঠে যেতে চায় তারা যেন এখনই সরযূর জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, শ্রীবিষ্ণুর মুখ থেকে এই কথা শুনে একে একে পত্যেকেই সরযূর  জলে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলেন। সবশেষে এলেন হনুমান। কিন্তু তিনি সরযূর  জালে ঝাঁপ দিতে যাওয়ার আগেই শ্রী বিষ্ণু তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, "তোমার তো বৈকুন্ঠে যাওয়া হবে না হনুমান।" হায়  হায়  করে উঠলেন হনুমান, তিনি কেঁদে উঠে বললেন, 'শ্রী রামচন্দ্র ছাড়া তাঁর জীবনে আর কোনোকিছুরই অস্তিত্ব নেই তাই তিনিও বিষ্ণুর সাথে বৈকুন্ঠেই যেতে চান'। 
লেপাক্ষী 

বিষ্ণু হনুমানকে বললেন , " আমার ইচ্ছা, তুমি কলিযুগের শেষ পর্যন্ত এই পৃথিবীতেই বাস করে ধর্মকে রক্ষা করার কাজ কর।" প্রভুর সেই আদেশ শিরোধার্য করে হনূমান অমর  হয়ে থেকে গেলেন পৃথিবীতেই। হিন্দু ভক্তেরা বিশ্বাস করেন আজও তিনি আছেন এই ধরাধামে। ত্রেতা যুগে তিনি জন্মেছিলেন। তারপর, দ্বাপর যুগে মহাভারতের সময় দুবার, একবার অর্জুনের এবং একবার ভীমের অহংকার তিনি চূর্ণ করেছিলেন। ভীমও ছিলেন পবনপুত্র, তাই সম্পর্কে ভীম ছিলেন তাঁর এক ভ্রাতা।  
মালেশিয়া 

কলিযুগেও তাঁর উপস্থিতির কথা এবং তাঁকে দর্শনের কথা অনেকেই বলে গিয়েছেন। যেমন, স্বামী মাধবাচার্য হনুমানের সাক্ষাতের কথা বলে গিয়েছেন, তুলসীদাসজী বলেছেন, রাম চরিত মানস  লেখার ব্যাপারে স্বয়ং হনুমান দর্শন দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, এছাড়াও রঘুবেন্দ্র স্বামী, স্বামী রামদাস ও সত্য সাই বাবা  হনুমানজির দর্শন পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। আজকের দিনে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখে দাবি করেন, যে তাঁরা হনুমানজির দর্শন লাভ করেছেন। সেই রকমই একটি লেখায় নিশান্ত সিং নামে এক ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন, উত্তরাখণ্ডের আউলিতে তিনি হনুমানজির দর্শন পেয়েছিলেন তাঁর যুবা বয়সে। তিনি লিখেছিলেন, বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে আউলির আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছিল স্থানীয় একটি পরিবারের বাড়িতে। মাঝরাতে সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,  তখন তিনি জানলার বাইরে এক ছায়া মূর্তি দেখতে পান। প্রচন্ড ঠান্ডায় সেই ছায়া মূর্তি একটি মাত্র সাদা কাপড় পড়েছিলেন, তিনি সেই ছায়ামূর্তিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সেই ছায়ামূর্তি পাহাড়ের ওপরের দিকে উঠে যেতে থাকেন, কৌতূহলবশতঃ তিনি অনেক দূর পর্যন্ত তাঁকে অনুসরণ করে প্রায় অরণ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যান, দেখেন ছায়ামূর্তির শরীর থেকে সাদা কাপড়টিও খসে পরে যায়, তিনি দেখেন, সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন স্বয়ং হনুমানজি।এরপর  ছায়ামূর্তি পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে অন্তর্হিত হন। এই ঘটনার পর তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাবা মাকে হারিয়েছেন, নিজের ছোট ভাইকে হারিয়েছেন, কিন্তু নিজে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সংসার নিয়ে সুখে বাস করছেন ফিলাডেলফিয়ায়। 
থাইল্যান্ড 

শ্রীরামচন্দ্রের মৃত্যুর পর হনুমানজি তাহলে কোথায় গেলেন ? জানা যাচ্ছে, তাঁর প্রিয় প্রভুর দেহত্যাগের পর তিনি দাক্ষিণাত্যে চলে যান। অনেকে বলেন, তিনি দাক্ষিণাত্যে এসে পবিত্র নর্মদা নদীর ধারে সীতাবনে অবস্থান করতে থাকেন। এখানে তিনি সীতাদেবীর সেবা করতে থাকেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, সীতা কি তখন বেঁচেছিলেন ?  গবেষকরা বলছেন, তখনকার দিনে স্বর্গ বলা হত হিমালয়ের উচ্চতর অংশকে, পৃথিবী বা ধরাধাম বলা হত উত্তর ও উত্তর-মধ্য ভারতকে এবং দক্ষিণ ভারতকে বলা হত পাতাল। তাই সীতার পাতাল প্রবেশ বলতে, সীতাদেবীর দাক্ষিণাত্যে স্থানান্তরকেই বোঝায়। 
বেদদা বা মাথাং উপজাতির মানুষ 

এরপর হনূমান বসবাস করতে থাকেন গন্ধমাদন পর্বতে, যেটির অবস্থান হল তামিলনাড়ুতে। গন্ধমাদন পর্বতকেই হনুমানের বর্তমান বাসস্থান বলে মনে করেন হিন্দু ভক্তেরা। দুনিয়ায় এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে হনুমানের পদচিহ্ন রয়েছে বলে বলা হয়, যেমন, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে লেপাক্ষীতে একটি পদচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়; রামায়ণে বর্ণিত রয়েছে, সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় এই জায়গাতেই রাবনকে বাধা দিতে এসে জখম হয়েছিলেন জটায়ু নামের এক পাখি। জটায়ু এখানেই মারা গিয়েছিলেন, সীতার খোঁজ করতে করতে রামচন্দ্র এখানে এসেছিলেন। লেপাক্ষীতে একটি বিশালাকার পদচিহ্ন রয়েছে, অনেকে এটিকে সীতাদেবীর পদচিহ্নও বলেন।

বেদদা বা মাথাং উপজাতির যোদ্ধা 

সীতাদেবীর সন্ধান করতে গিয়ে হনূমান বিশাল লম্ফ দিয়ে শ্রীলংকায় গিয়ে নামেন, সেই সময় তাঁর পদচিহ্ন পরে একটি পাথরের ওপরে, সেটি এখনো আছে। থাইল্যান্ডে রামায়ণের  মত করেই লেখা হয়েছিল রামাকেন গ্রন্থ। বলা হয় রাম ছিলেন সেখানকার রাজা। তাছাড়া এও বলা হয়, থাইল্যান্ডের রাজধানীর পুরোনো নাম ছিল অযুদ্ধা।  সেখানেও হনুমানের পদচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া মালেশিয়ার পেনাং নামে  একটি জায়গায় হনুমানের পদচিহ্ন দেখতে যাওয়া যায়, তবে সেই পদচিহ্নকে ঘিরে এখন সেখানে গড়ে উঠেছে মন্দির। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশালাকার পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেটি কার সে ব্যাপারে কিছু জানা যায় নি।

এশিয়াভিত্তিক একটি এনজিও 'সেতু' (SETUU) দাবি করেছে, হনুমানজি দাক্ষিণাত্যে  থাকার সময় বেশ কিছুকাল শ্রীলঙ্কায় কাটিয়েছেন, তিনি শ্রীলঙ্কার পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা এক উপত্যকায় 'মাথাং' উপজাতিদের সাথে কাটিয়েছেন। এদেরকে বেদদাও বলা হয়; এই মাথাং উপজাতির মানুষের সেবা পেয়ে তিনি তাঁদের আত্মজ্ঞান প্রদান করেছিলেন। যে জ্ঞানের ফলে এই উপজাতির মানুষ আধ্যাত্মিক শক্তিতে ভরপুর হয়ে উঠেছিল। তারা অতীত ও ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হয়েছিল, তারা পশু পাখিদের সাথে স্বভাবিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারত । মাথাংদের  তিনি একটি মন্ত্র প্রদান করেন এবং বলেন, প্রতি ৪১ বছরে তিনি মাথাংদের কাছে ফিরে আসবেন এবং প্রতি প্রজন্মকেই আত্মজ্ঞান প্রদান করবেন। সেই অনুযায়ী এখনো তিনি আসেন মাথাংদের  কাছে। মাথাং সম্প্রদায় আজও  রয়েছে, তারা এখনো অরণ্যেই বাস করে অত্যন্ত সাত্ত্বিকভাবে। এদের গ্রামের আশেপাশে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলিকে নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে শ্রীলঙ্কায়, মাথাংদের গ্রামের কাছে এক আশ্রমে। তবে সেই লিপি উদ্ধার করা বেশ দুরূহ হয়ে পড়েছে, কারন মাথাং উপজাতি সেই পাণ্ডুলিপি উদ্ধারে খুব একটা উৎসাহিত নয়, মাথাং উপজাতির মোড়লের কথায়, "২০১৪ সালে তিনি এসেছিলেন, ফের আসবেন ২০৫৫ সালে"। তিনি যে মন্ত্র তাদের দিয়ে গেছেন, তা হল, "কালেতন্তু  কালেচারেন্তি এনর মরিষ্ণু, নিৰ্মুক্তের কালেত্বম অমরিষ্ণু "।  এই মন্ত্র স্মরণ করলেই তিনি উপজাতির মানুষের কাছে চলে আসবেন। কিন্ত এই মন্ত্র যদি কেউ অসাধু উপায় অবলম্বন করার জন্যে ব্যবহার করে ? তার জন্যে তিনি দুটি শর্ত দিয়েছিলেন, ১) যে এই মন্ত্র স্মরণ করবে, তাকে বজরংবলীর মননের সাথে বিরাজ করতে হবে, ২) যেখান  থেকে এই মন্ত্র উচ্চারণ করা  হবে তার ৯৮০ মিটারের মধ্যে এমন কেউ থাকবে না, যে হনুমানকে স্মরণ করে না;

সেতু নামক এই এনজিওর দাবি আবার অনেকেই বিশ্বাস করে না এবং প্রভু হনুমানের নাম করে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ তোলেন। ঘটনা যাই  হোক না কেন, হনুমানজিকে নিয়ে এই মিথ কিন্তু ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের হিন্দু মানুষের মনের মধ্যেই । জগতে বিশ্বাস অবিশ্বাস দুইই আছে, কে কোনটা বিশ্বাস করবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার আর সে জন্যেই তো বলা হয়, 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর'। হিন্দু ভক্তেরা বলেন , যেখানে শ্রীরামের ভজন হয় সেখানেই সুক্ষ দেহে  উপস্থিত থাকেন হনুমানজি। কুম্ভ স্নান বা সাগরদ্বীপে মকর সংক্রান্তির পুন্য  স্নানেও নাকি তিনি থাকেন, এবং পুণ্য লগ্নের চরম মুহূর্তে সর্বাগ্রে স্নান করতে ছেড়ে দেওয়া হয় সেই সাত চিরঞ্জীবীকে, যাঁদের এখনো মৃত্যু হয়নি। সেই সাত চিরঞ্জীবী হলেন হনুমান, বিভীষণ, অশ্বত্থামা, কৃপাচাৰ্য্য, পরশুরাম, বলিরাজ ও বেদব্যাস। বিশ্বাসেই বেঁচে আছে ধর্ম। বিশ্বাসেই বেঁচে আছে মানুষ, বিশ্বাসেই বেঁচে আছে জীব জগৎ। সেইজন্যেই বলা হয়, "মানো  তো শঙ্কর, না মানো তো কঙ্কর "।

Comments

Popular posts from this blog

মৃত্যুর পরেও তানসেনের দেহে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন কে ?

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের অবস্থান এতো খারাপ কেন ? (পর্ব - ১)